সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও ইতিহাসঃ
বাকড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইতিহাস শুনতে হলে আমাদের আজ থেকে ১৩৯ বছর আগের কিছু কথা জানতে হবে। ১৯৫৩ সালেই বাকড়ী গ্রামের মোহন বিশ্বাস নিজের জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। মুক্ত আলো বাতাস প্রবেশ করার জন্য পরিমিত মানের জানালা, দরজা ও বসার জন্য শিশুদের বসার উপজোগী বেঞ্চ আছে। চারু ও কারুকলা শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিশুর সৃজনশীলতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মূল্যায়ন করা হয়।
৫৬ নং বাকড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এগারোখানের বাকড়ী গ্রামে অবস্থিত । ১৯৩৫ সালে এই বিদ্যালয় চালু করা হয় এলাকার সকল শিশুদের সুশিক্ষার আলোতে আলোকিত করার লক্ষে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষিকা রয়েছেন।১৯৭৩ সালে এটির জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে ৬৮ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে স্কুলটিতে ।
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাঃ
১) শরীর চর্চা ও খেলা ধুলার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। খেলাধুলার উপকরণ হিসাবে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম, স্কিপিং রোপ, রিং, লুডু ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে দোলনা ও স্লিপার।
২) চারু কারুকলা শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিশুর হাতে কলমে কাজ করিয়ে সৌন্দর্য চেতনা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা হয়।
৩) সমাজের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের জন্য অনুপ্রেরণা ও নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের জ্ন্য হাতে কলমে কাজ করিয়ে দল ও ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল এর মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক ও নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের সুযোগ বিদ্যমান।
৪) অনুপস্থিত শিশুদের অনুপস্থিতি রোধ করা যায় এবং শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য রয়েছে হোম ভিজিট কার্যক্রম যা শিক্ষকেরা পর্যায়ক্রমে সম্পাদন করে থাকেন।
৫) শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকম শিশু সাহিত্য ও গল্পের বই, মিনা কার্টুন ইত্যাদি যা সপ্তাহে কোন নির্দিষ্ট দিনে শিশুদের পড়তে দেওয়া হয়।
৬) প্রতিবছর এ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের বিনামূল্যে সরকার প্রদত্ত বই বিতরণ করা হচ্ছে।